বাংলা ব্লগ
সপ্তপদী May 18, 2015 23:35
'সপ্তপদী' বাংলা সাহিত্যের একটি বিশিষ্ট সম্পদ ও উল্লেখযোগ্য উপন্যাস। যে কয়েকটি বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল-রচনার উৎকর্ষে অতুলনীয় উপন্যাস রচিত হয়েছে-এই ক্ষীণ কলেবর উপন্যাসটি তার মধ্যে একটি প্রধান স্থান পাবে বলে বিশ্বাস। বিশ্ব-সাহিত্যেই উজ্জ্বলতম রত্ন হিসেবে স্থান পাবে। 'সপ্তপদী' উপন্যাসটি পুস্তক আকারে প্রকাশের পূর্বে ১৩৫৬ সালের শারদীয়া আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশ হয়।
সপ্তপদীর ভূমিকাটি মূল্যবান। প্রাসঙ্গিক অংশের উদ্ধৃতি দিচ্ছিঃ
তেরশো ছাপান্ন সালে পূজায় আনন্দবাজারে 'সপ্তপদী' প্রকাশিত হয়েছিল। আমার সাহিত্য-কর্মের রীতি অনুযায়ী ফেলে রেখেছিলাম নূতন করে আবার লিখে বা আবশ্যকীয় মার্জনা ক'রে সংশোধন ক'রে বই হিসেবে বের করব। বিগত ১৫।১৬ বৎসর ধরে কবির সময় থেকে এই রীতি আমার নিয়ম ও নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার জীবনে ও শিক্ষায় এ শক্তি আমার নেই। আমি জানি যে, একবার লিখেই কোন রচনাকে-নিখুঁত দূরের কথা-আমার সাধ্যমতও নিখুঁত করতে পারি না। কিন্তু 'সপ্তপদী'র সময়ে ঘটনার জটিলতায় তা সম্ভবপর হয়নি।
'সপ্তপদী' উপন্যাসের শেষে পরিশিষ্ট অংশে তারাশঙ্কর কৃষ্ণেন্দু ও রিনার উৎস সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেছেন। 'সপ্তপদী' উপন্যাসের মধ্য দিয়েও তারাশঙ্কর ধর্ম ও মানবজীবনের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম অনুভূতি ও বর্তমান কাল ও ভবিষ্যতের অনেক সমস্যা ও জীবন-জিজ্ঞাসার কথা ব্যক্ত করেছেন। ভারতীয় ধর্মাদর্শ ও শাশ্বত জীবন-জিজ্ঞাসার বাণীরূপে এই উপন্যাসটির প্রতি ছত্রে ছড়িয়ে আছে। 'বিন্দুতে সিন্ধু দর্শনের মত' অতি অল্প কথার মধ্যে নিপুণ কথাকার অনেক কথা বলেছেন।
তারাশঙ্কর নিজেও ছিলেন সেকালের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ-এর ছাত্র। প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ইংরেজি ১৯১৫ খ্রীঃ কলেজ-এ ঢুকেছিলেন। থাকতেনও এণ্টালী এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে। ফলে অ্যাংলো-ইণ্ডিয়ান জীবনের হতাশা ও রিক্ততার চিত্র তাঁর মত মানুষের পক্ষে চোখে পড়া অসম্ভব ছিল না। তখনও অ্যাংলো-ঈণ্ডিয়ান ও ভারতীয় খ্রীষ্টান ও বাঙালী হিন্দু পরিবার তালতলা ও এণ্টালী অঞ্চলে পাশাপাশি বাস করতেন।
'সপ্তপদী' স্রষ্টা তারাশঙ্করের কালজয়ী মহত্তম সৃষ্টি। য়ুরোপীয় জ্ঞান মর্যাদার শ্রেষ্ঠ পুরষ্কার (ইংরেজী বা অন্য বিদেশী ভাষায় লেখা বা অনুবাদিত হয়ে) 'নোবেল প্রাইজ' প্রদত্ত হলে আশ্চর্যের কিছু ছিল না।
এই পথ যদি না শেষ হয় তবে কেমন হ’ত তুমি বলতো ? May 14, 2015 23:02
“এই পথ যদি না শেষ হয় তবে কেমন হ’ত তুমি বলতো ? " এ গান শোনেনি এমন বাঙালি বোধকরি পৃথিবীতে পাওয়া যাবে না। আর যদি জিজ্ঞেস করা হয় - কোন সিনেমার এ গান? তাহলে সব্বাই ১০-এ-১০ পাবেন। ‘সপ্তপদী’। কিন্তু মূল কাহিনী যা থেকে এই সিনেমা তৈরি হয়েছিল তা পড়েছেন কি? বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে বিখ্যাত তিন বন্দ্যোপাধ্যায়-এর অন্যতম তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়-এর লেখা সেই অসাধারন কাহিনীটি এবার ই-বই হিসেবে প্রকাশিত হতে চলেছে - Indic Publication এ।
সাথে তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়-এর নিজের কথায় এই কাহিনীর প্রেক্ষাপট, যেখান থেকে জানতে পারবেন 'সপ্তপদী’-র নায়িকা রীনা ব্রাউন চরিত্রটি গড়ে ওঠার পেছনে কে বা কে-কে আছেন। কার উপর ভিত্তি করেই বা তৈরি হয়েছে কৃষ্ণেন্দুর চরিত্র। এবং এমন আরও নানান অজানা তথ্য থাকবে মূল কাহিনীর সাথে।
ঐ ই-বই কবে প্রকাশিত হবে ? ক্রমশ প্রকাশ্য
Introducing the new Kobo Glo HD - the clearest, most book-like 6" HD E Ink touchscreen!
আমার বই আমার সাথেই May 13, 2015 20:48 3 Comments
